ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওঝার কথায় ১৫ ঘণ্টা পানিতে ফেলে রাখা হলো যুবকের লাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে সুজন থান্ডার (২৬) নামের এক যুবকের। তাকে বাঁচিয়ে তুলতে ওঝার কথায় ১৫ ঘণ্টা পানিতে ফেলে রাখা হলো মরদেহ। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের পশ্চিম বঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিলেন সুজন। তখন তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মুখ থেকে ফেনা বার হতে দেখে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই মৃত্যু হয় সুজনের। তারপর গ্রামের কিছু লোক মৃতের পরিবারকে জানান, ওঝা দেখালে হয়তো বেঁচে যেতে পারে সুজন। এরপর চন্দ্রমোহন দাস নামে এক ওঝাকে ডাকা হয়। সেই ওঝার কথায় পানিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় মরদেহ। সম্পূর্ণ শরীর পানিতে তলিয়ে মাথা বাইরে রাখা হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। সংবাদকর্মীরা গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সুজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ওঝাকেও খোঁজা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় রাজ্যের বিজ্ঞানমঞ্চের সুপ্রিয় সাধু বলেন, এই ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা নেই। এখনও মানুষ কতটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ওঝার কথায় ১৫ ঘণ্টা পানিতে ফেলে রাখা হলো যুবকের লাশ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে সুজন থান্ডার (২৬) নামের এক যুবকের। তাকে বাঁচিয়ে তুলতে ওঝার কথায় ১৫ ঘণ্টা পানিতে ফেলে রাখা হলো মরদেহ। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের পশ্চিম বঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিলেন সুজন। তখন তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মুখ থেকে ফেনা বার হতে দেখে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই মৃত্যু হয় সুজনের। তারপর গ্রামের কিছু লোক মৃতের পরিবারকে জানান, ওঝা দেখালে হয়তো বেঁচে যেতে পারে সুজন। এরপর চন্দ্রমোহন দাস নামে এক ওঝাকে ডাকা হয়। সেই ওঝার কথায় পানিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় মরদেহ। সম্পূর্ণ শরীর পানিতে তলিয়ে মাথা বাইরে রাখা হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। সংবাদকর্মীরা গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সুজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ওঝাকেও খোঁজা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় রাজ্যের বিজ্ঞানমঞ্চের সুপ্রিয় সাধু বলেন, এই ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা নেই। এখনও মানুষ কতটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।